🎬Movie Name : slumdog Millionaire
⏩রানিং টাইম: ১২৭ মিনিট
⏩ অর্জন: মুভিটি বিপুল প্রশংসা কুড়ায় এর কাহিনী, সাউন্ডট্র্যাক ও পরিচালনার জন্যে। এটি ২০০৯ সালে ১০টি
একাডেমি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয় এবং ৮টি অর্জন করে, যার মধ্যে ছিল
শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র , শ্রেষ্ঠ পরিচালক ও শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্য। এছাড়া এটি সাতটি বাফটা অ্যাওয়ার্ড, পাঁচটি ক্রিটিকস চয়েস পুরস্কার এবং চারটি গোল্ডেন গ্লোব অর্জন করেছে।
⏩cast:দেব প্যাটেল,ফ্রিদা পিন্টো,মধুর মিত্তাল,অনিল কাপুর,ইরফান খান।
♦IMDB : 7.9/10
★Rotten Tomatoes : 93%
⏩PR: 09/ 10
⏩Release Year : ০৯-০১-২০০৯(USA)
১২-১০-২০০৯(Bangladesh)
♦ বাজেট: ১৫ মিলিয়ন
♣বক্সঅফিস: ৩৭৭.৯ মিলিয়ন।
♦পরিচালক: ড্যানি বয়েল।
🚫স্পয়লার অ্যালার্ট
Movie Review :
-------------------------
জামাল মালিক বস্তির এক ভারতীয় মুসলিম, রিয়ালিটি শো কৌন বনেগা ক্রোড়পতির প্রতিযোগী এবং গ্র্যান্ড প্রাইজ থেকে মাত্র এক ধাপ দূরে আছে। কিন্তু ২০ মিলিয়ন রুপি মূল্যের শেষ প্রশ্নের পূর্বেই তাকে প্রতারক সন্দেহে পুলিশ গ্রেপ্তার ও নির্যাতন করে, কারণ এক অশিক্ষিত সাধারণ 'স্লামডগ' বা বস্তিবাসীর পক্ষে সব উত্তর জানা অসম্ভব। তখন জামাল তার জীবনের ঘটনাগুলো বলে (ফ্ল্যাশব্যাক করে) যা তাকে এসব উত্তর যুগিয়েছে।
জামাল স্মৃতিচারণ শুরু করে পাঁচ বছর বয়সের একটি ঘটনা থেকে-
সে বলিউড তারকা অমিতাভ বচ্চনের অটোগ্রাফ নিয়েছিল, তার ভাই সেলিম সেটা বিক্রি করে। এর কিছুদিন পরে মুম্বাইয়ের দাঙ্গার সময় তার মাকে মেরে ফেলে উগ্রপন্থি হিন্দুরা । দাঙ্গার কারণে বস্তি ছেড়ে যাবার পথে তাদের বস্তির এক মেয়ে লতিকার সাথে দেখা হয়। সেলিম লতিকাকে সঙ্গে নিতে না চাইলেও জামাল বলে যে লতিকা হবে তৃতীয় মাস্কেটিয়ার, আলেক্সাঁদ্র্ দ্যুমার থ্রি মাস্কেটিয়ার্স উপন্যাসের চরিত্র। বইটি তাদের স্কুলপাঠ্য হলেও নামগুলো তারা জানত না। এরপর তাদের দেখা হয় গুন্ডা মমনের সাথে, যে পথশিশুদের ধরে নিয়ে ভিক্ষা করায়। সেলিম জানতে পারে যে ভিক্ষা বেশি পাবার জন্যে মমন ছেলেদের অন্ধ বানিয়ে দেয়। তখন সে জামাল ও লতিকাকে নিয়ে পালিয়ে যায়। স্টেশন ছেড়ে যেতে থাকা একটা ট্রেনে উঠে পড়ে সেলিম। জামালকে টেনে তুললেও ইচ্ছাকৃতভাবেই লতিকার হাত ছেড়ে দেয়। ফলে মমন আবার লতিকাকে ধরে নিয়ে যায়। পরের কয়েক বছর সেলিম এবং জামাল ট্রেনের ছাদে চড়ে ঘুরে বেড়ায়, জিনিসপত্র ফেরি করে, লোকের পকেট মারে, বাসন-কোসন ধোয়, তাজমহলে গিয়ে গাইড সাজে আর সেখানে জুতো চুরি করে। একসময় জামালের পীড়াপিড়িতে তারা মুম্বাইয়ে ফিরে আসে লতিকার খোঁজে, দেখতে পায় যে মমন তাকে বড় করছে দেহব্যবসায় নামানোর জন্যে। দুই ভাই লতিকাকে উদ্ধার করে আর মমনকে গুলি করে মারে। সেলিম কাজ পেয়ে যায় মমনের প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী জাভেদের অধীনে। সে জামালকে বলে যে সে লতিকাকে একা পেতে চায়। জামাল এসবের বিরোধিতা করলে সে পিস্তল তোলে, তখন লতিকা জামালকে বোঝায় যে তার চলে যাওয়াই ভালো।
অনেক বছর পরে, জামাল এখন একটি ভারতীয় কল সেন্টারে কাজ করে। সেন্টারের ডাটাবেজে সলিম ও লতিকার তথ্য খুঁজে দেখে। লতিকাকে না পেলেও সেলিমের খবর পায় যে সে জাভেদের বাহিনীতে লেফটেন্যান্ট হয়েছে। জামাল গিয়ে সেলিমকে তিরস্কার করে, সেলিম ক্ষমা চায় এবং তাকে তার বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টে থাকার প্রস্তাব দেয়। জামাল কৌশলে জাভেদের বাড়িতে ঢুকে লতিকার কাছে পৌছায় আর তাকে তার ভালোবাসা নিবেদন করে কিন্তু লতিকা বলে তাকে ভুলে যেতে। জামাল বলে যায়- প্রতিদিন সে বিকেল ৫টায় ভিক্টোরিয়া স্টেশনে তার প্রতীক্ষায় থাকবে। লতিকা যাবার চেষ্টা করলেও সেলিম ও জাভেদের লোকেরা তাকে ধরে ফেলে। জাভেদ মুম্বাইয়ের বাইরে গিয়ে নতুন বাড়িতে ওঠে, ফলে আবার দুজনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। জামাল কৌন বনেগা ক্রোড়পতিতে অংশ নেয়, সে জানত যে লতিকা নিয়মিত এই অনুষ্ঠান দেখে। শো তে জামাল সব প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিয়ে সবাইকে অবাক করে দেয়। শেষদিকের একটি প্রশ্নে সে ৫০/৫০ লাইফলাইন ব্যবহার করে। তখন শোয়ের উপস্থাপক প্রেম কুমার ভুল উত্তরটি বলে তাকে বিভ্রান্ত করতে চাইলেও জামাল অন্যটা বেছে নেয় যেটা সঠিক হয়।
পুলিশ অনুমান করে সে প্রতারণা করেছে, তাকে ধরে নিয়ে যথেষ্ট মারধোর করে। পরে জামালের "অবিশ্বাস্যভাবে সত্যি" ব্যাখ্যা শুনে ইন্সপেক্টর তাকে ছেড়ে দেন। এদিকে জাভেদের আস্তানায়, টেলিভিশনে জামালকে দেখে লতিকা, সেলিম তার আগের কাজের প্রায়শ্চিত্ত স্বরূপ লতিকাকে তার মুঠোফোন ও গাড়ির চাবি দিয়ে বলে জামালের কাছে চলে যেতে। জাভেদকে ভয় পেলেও লতিকা শেষে পালায়। আর সেলিম টাকা দিয়ে একটা বাথটাব ভরে তাতে বসে থাকে জাভেদের অপেক্ষায়। শোতে জামালকে চূড়ান্ত প্রশ্ন করা হয় থ্রি মাস্কেটিয়ার্সে তৃতীয় মাস্কেটিয়ারের নাম কী, জামাল এটা জানত না। তাই সে "ফোন-এ-ফ্রেন্ড" লাইফলাইনে সেলিমকে কল করে। ফোন ধরে লতিকা, উত্তর সে না জানলেও বলে যে সে এখন নিরাপদে আছে। নিশ্চিন্ত হয়ে জামাল বেছে নেয় সঠিক উত্তর আরামিস, এবং জিতে নেয় গ্র্যান্ড প্রাইজ। শো দেখতে থাকা জাভেদ বুঝে যায় সেলিম তার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। তখন সে দলবল নিয়ে দরজা ভেঙে বাথরুমে ঢুকতেই সেলিম তাকে গুলি করে। পরে সেলিমও গুলিবিদ্ধ হয়ে ঢলে পড়ে, আল্লাহু আকবর উচ্চারণ করে। জামাল ও লতিকা রেলস্টেশনে একত্রিত হয়, আর "জয় হো" গানের সাথে তাদের দুর্দান্ত নাচে সমাপ্তি টানা হয়।
বি: দ্র: এই মুভির "জয় হো" গানের জন্য প্রথম ভারতীয় শিল্পী হিসেবে "এ আর রহমান" অস্কার জিতেছিলো।
Happy watching
#Stay home,stay Safe
Uploading: 2181448 of 2181448 bytes uploaded.