Movie : Taare zameen par (2007)

Imdb : 8.4

মুভিটি প্রত্যেক বাবা মায়েদের দেখানো উচিত।আমির খানকে যখন জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল আপনার অভিনীত আপনার প্রিয় মুভি কোনটি তিনি বলেছিলেন তারে জামিন পার মুভির কথা। এটি আমির খান অভিনীত ও পরিচালিত একটি শিশু কেন্দ্রীক মুভি। মুভিটির কাহিনী প্যাট্রিসিয়া পোলাক্কোর বই "Thank you, mr. Falker থেকে অনুপ্রাণিত। এছাড়া এই মুভির নাম সাজেস্ট করেছিলেন সালমান খান এটা আমির খানের অনেক পছন্দ হয় যার কারণে এই নামই রাখা হয়। আমির খান এত বড় স্টার সত্ত্বেও এই মুভিতে সাপোর্টিং রোল প্লে করেছেন।

সংক্ষিপ্ত স্পয়লার

প্লট: মুভিটিতে ৮/৯ বছরের ছেলে ঈশাণ যে কিনা ডাইস্লেক্সিয়া নামক মানসিক রোগে আক্রান্ত তার স্টোরি দেখানো হয়েছে। সে পড়াশোনায় খুবই অমনোযোগী বরাবরই খারাপ রেজাল্ট করে। শিক্ষকদের একের পর এক অভিযোগের কারণে তার
অবস্থার উন্নতির জন্য তাকে বোর্ডিং স্কুলে পাঠানো হয়। সেখানকার শিক্ষক রাম শংকর (আমির খান ) সেই একমাত্র ব‍‍্যাক্তি যে তার প্রবলেমটা বুঝতে পারে।
শিক্ষক রাম শংকরের সহযোগিতায় শিশুটি কিভাবে ওভারকাম করে সেটি দেখানো হয়েছে।

মুভিটিতে তুলে ধরা হয়েছে ডাইস্লেক্সিয়ায় অক্রান্ত ছেলেটির ব্যাপারে। ডাইস্লেক্সিয়া বলা হয় লার্নিং ডিজঅর্ডার বা রিডিং ডিজঅ্যাবিলিটি অর্থাৎ কোনো কিছু শেখা বা পঠন - পাঠন ও আওয়াজ - উচ্চারণ বোঝা বা গুলিয়ে ফেলার সমস্যা। মস্তিষ্কের যে জায়গা ভাষা যোগাযোগের কাজটা করে, ঠিক সেখানেই ডাইস্লেক্সিয়া হয়ে থাকে। এছাড়া মুভিটিতে দেখানো হয়েছে বাবা মায়ের হাই এক্সপ্রেক্টেশনের কারণে সন্তানদের কিরকম সমস্যায় পড়তে হয়। বেশি এক্সপ্রেক্টেশনের কারণে তাদের সন্তানদের পরিশ্রম কখনো চোখেই পড়ে না। পড়াশোনা ছাড়াও যে আরও প্রতিভা থাকতে পারে এটা তারা বুঝতেই চান না। আমরা সবাই জানি মোস্তাফিজুর রহমান কিরকম ছাত্র ছিলেন।কিরকম অজপাড়াগা থেকে উঠে এসেছেন। অথচ সেই আজ বিশ্ব দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। যদি তার পরিবার থেকে সুযোগ না দিত তাহলে তাকে আজ কেউই চিনতেই পারত না। হতে পারে আপনার সন্তানই নেক্সট মুস্তাফিজ, সাকিব,মুশফিক কে জানে?। যে যে বিষয়ে পারদর্শী
তাকে ঐ বিষয়ে আরও উৎসাহিত করা। সুযোগ করে দেওয়া।
মুভিটিতে ঈশাণের সমস্যাটি আরও ভালোভাবে বোঝানোর জন্য তার ভাই ইয়োহানের গল্পও তুলে ধরা
হয়েছে। তার বড়ভাই পড়শোনায় ভালো, খেলাধুলায়ও ভালো শৃঙ্খলা বজায় রাখে মানে একটা আইডিয়াল বাচ্চা । অন্যদিকে তার বাবা মা তার বড়ছেলের মতো ছোট ছেলের কাছ থেকেও একই এক্সপ্রেক্টেশন নিয়ে বসে থাকে যে কি মানসিক ভাবে অসুস্থও।মুভিটিতে juxtaposition এর ব্যাপারটা খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে অর্থাৎ দুইটা বিপরীত জিনিস থেকে একই রকম এক্সপ্রেক্ট করলে যে হতাশ হবেন এটাই স্বাভাবিক। এই ব্যাপারগুলো মুভিতে তুলে ধরা হয়েছে।
বাবা মা যারা তাদের এই মুভিটা অবশ্যই দেখা উচিৎ ।দেখার পর আপনাকে নতুন করে ভাবতে শেখাবে।

"Happy watching "